Search Bar

LightBlog

Saturday, April 7, 2018

(শিক্ষা) 10 টা সৃজনশীল লিখব না।চিঠি লিখে দিলাম। পোষ্টা পড়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

“আসসালামু আলাইকুম”
আশাকরি ট্রিকলোডের ভিজিটররা ভালো ও সুস্থ আছেন।আর ট্রিকলোডের সাথে থাকলে তো ভালো থাকারই কথা।
“যাই হোক এখনকার পোষ্টা অন্যরকম” লেখক: জানি না
শিক্ষামন্ত্রী, বাংলাদেশ।
বিষয় : মানি না, মানবো না,
১০ টা সৃজনশীল লিখবো না।
জনাব,
বিনিত নিবেদন এই যে,
কি অন্যায় করেছিলাম স্কুলে ভর্তি হয়ে? কি অন্যায় করেছিলাম ২০১৯ এর HSC ব্যাচ হয়ে? আজ দুঃখের সাথে বলতে হয়, সাত বছরের ইতিহাস বাংলার ছেলেমেয়েদের কষ্টের ইতিহাস। সাত বছরের ইতিহাস ছেলেমেয়েদের হাত ব্যথার করুণ ইতিহাস।
২০১১ সালে বৃত্তি পরীক্ষা উঠিয়ে PSC তে জিপিএ সিস্টেম করলেন।এরপর ২০১৪ সালে JSC তে গণিতে তো পাশই করতে পারি না আপনি ছেলেমেয়ের জন্য গণিতেও সৃজনশীল করলেন। ২০১৭ সালে খেয়ে দেয়ে কাজ নাই সাতটা সৃজনশীল করলেন। এক্সাম এসে গেছিল, পাশ করতে হবে তাই আমরা মেনে নিলাম। তারপর অনেক ইতিহাস হল, পরীক্ষা হল। টেনেটুনে পাশ করে গেলাম। .
২০১৮ সাল থেকে HSC তে mcq সিস্টেম বাদ দিয়ে দিতে চাচ্ছেন। যদি mcq বাদ যায় তাহলে পরীক্ষা দিব না। আমাদের দাবি মানতে হবে। আপনি আর আপনার পোলা – মাইয়া – নাতি- পুতি আগে ১০ টা করে সৃজনশীল লিখে পরীক্ষায় পাশ করুন, তারপর আমরা বিবেচনা করব পরীক্ষা দিব কি না
আমি জিপিএ চাই না। আমি অসহায় HSC-2019 ব্যাচের অধিকার চাই।আমি পরিষ্কার অক্ষরে বলে দিবার চাই আজ থেকে আমাদের মত ফেল্টু ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ থাকবে। ব্রিলিয়েন্টদেরযাতে অসুবিধা না হয় তারা দিনে ১৮ ঘন্টা করে পড়বে। কিন্তু আমাদের সবাইকে অটোপাশ দেওয়া লাগবে। আর যদি তা না হয় তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল প্রত্যেক কলেজে কলেজে দুর্গ গড়ে তোল।তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাক। আমরাও ফালতু ডাক্তার হবো আর বসে বসে রোগী মারব।
৩ ঘন্টায় ১০ টা সৃজনশীল কিভাবে সম্ভব??? কোন পাগলেও এই কথা চিন্তাও করতে পারে না। ১৮ মিনিট করেও পাবো না। আর একটা কথা, আমরা মানুষ রোবট নই। আর এক একটা সৃজনশীল ৭ পেজ করে না লিখলে ৮ নম্বরও পাওয়া যাবে না। আর A+ না পাইলে বাসাতে যে বের করে দিবে।
আগে ৬ টা সৃজনশীল লিখলে হাত ব্যাথা করত। এখন ৭ টা লিখলে হাত অবশ হয়ে যায়। ১০টা যদি লেখতে যাই হলেই না অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাই।
তাই বন্ধু বান্ধবীদের বলছি যদি ১০ টা সৃজনশীলের ব্যবস্থা করা হয় আপনারা বুঝেসুঝে কাজ করবেন। .
প্রশ্ন ফাসের দায় কেন আমাদের ঘাড়ে এসে পড়বে??? প্রশ্ন কি কোন স্টুডেন্ট ফাঁস করে??? ফাঁস তো করে তারা যাদের সামান্য একটা প্রাইমারি স্কুলে বা হাই স্কুলে চাকরীতে ঢোকার সময় আপনাদের ১৪-১৫ লাখ টাকা হাদিয়া দেয়া লাগে। ১৪-১৫ লাখ টাকা তো তাদের উঠাইতে হবে। তাই তারা প্রশ্ন ফাঁস করে। আর তারা না করলে করে শিক্ষা মন্ত্রনালয় সংশ্লিষ্ট অফিসাররা। তাহলে তার দায় কেন আমাদের উপর এসে পড়বে??? আমরা এর জবাব চাই। জবাব যদি না দিতে পারেন, তাহলে সব সাবজেক্টে ৫ টা করে সৃজনশীল দিতে হবে।
আপনারা নিয়োগ বানিজ্য বন্ধ করেন। সেটা ফেয়ার হলেই আর প্রশ্ন ফাঁস হবে না। আপনারা টাকা খাবেন। আর ভিক্টিম হব আমরা? এইটা তো মেনে নেওয়া যায় না।
তাই আমার বন্ধু বান্ধবীরা ভাইয়েরা বোনেরা তোমরা প্রত্যেক কলেজে # তোমাদের কলেজে স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট হোক আর ছাত্র সংসদ হোক তাদের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোল এবং যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাক। পরীক্ষা যখন দিয়েছি পরীক্ষা আরো দেব। কিন্তু ১০টা সৃজনশীল লিখবো না ইনশাআল্লাহ।
নিবেদক,
২০১৯ সালের HSC ব্যাচের সকল ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।
বিঃ দ্রঃ পোষ্টটি বেশি বেশি শেয়ার করুন যাতে শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় দেখতে পান।।

The post (শিক্ষা) 10 টা সৃজনশীল লিখব না।চিঠি লিখে দিলাম। পোষ্টা পড়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। appeared first on TrickLoad.Com.

No comments:

Post a Comment