Search Bar

LightBlog

Monday, April 2, 2018

“”যৌবন কালের ইবাদত শ্রেষ্ঠ ইবাদত”” …

বৃদ্ধ দাদু তার যুবক নাতী রায়হানকে ফজরের নামাজ
পড়তে ডাক দিলো! নাতী বললো.. “দাদু, তোমার
মতো বুড়ো হয়ে নিই তারপর আল্লাহকে
ডাকবো, বেশি বেশি ইবাদত করবো।”
জবাবে দাদু বললো.. “তুই কি আমার বয়স পর্যন্ত
যেতে পারবি? তার কি কোনো গ্যারান্টি আছে?”
রায়হান কোনো উত্তর দিতে পারলোনা.!
দাদু বললো.. “চল আজ আমরা একটা গেম খেলি!”
: কি গেম?
: দৌড় প্রতিযোগীতা!
: হা.! হা.! হা.! তুমি আমার সাথে দৌড়াবে! কিন্তু কেন?
: পরে বলবো। আগেতো প্রতিযোগীতা
তো হোক।
: আচ্ছা।
.
দাদু ফজরের নামাজ শেষে নাতীকে ডাকলো এবং
প্রস্তুতি নিল এক কিঃমিঃ রাস্তা কে আগে পৌছাতে
পারে!
দুজনে দৌড় শুরু করলো। রায়হান ঠিকই তাড়াতাড়ি
আগেই পৌছে গেল। রায়হান পিছন ফিরে তাকিয়ে
দেখলো দাদু অনেক দুরে বসে আছে, দৌড়াতে
পারছেনা। রায়হান দৌড়ে দাদুর কাছে গেল। গিয়ে
দেখে দাদুর হাত পা কাঁপছে। দম বন্ধ হবার অবস্থা।
রায়হান দাদুর এই অবস্থা দেখে বললো.. “কি দরকার
ছিলো, তোমার যদি কিছু হয়ে যেতো?”
দাদু বললো.. “শোন তোকে আমি এটাই বুঝাতে
চাইছি যে, আমি যেমন মাঝপথে থেমে গেছি,
দৌড়িয়ে পৌছাতে পারলামনা। ঠিক তেমনি বৃদ্ধ বয়সের
ইবাদত আল্লাহর কাছে পৌছায়না। আর তুই যেমন খুব
দ্রুত পৌছে গেলি, ঠিক তেমনি যৌবন কালের ইবাদত
আল্লাহর কাছে দ্রুত পৌছে যায়। আল্লাহ্ তায়ালা যৌবন
কালের ইবাদত সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন।
এখন এই বৃদ্ধ বয়সে এসে আপসোস করা ছাড়া
আর কিছু করার নাই। কেন যে যুবক বয়সে আল্লাহর
ইবাদত করিনি!”
দাদু আরো বলতে থাকে… এই বৃদ্ধ বয়সে গায়ে
জোর নাইরে নাতী, মনেও নাই সতেজতা।
আল্লাহর ইবাদত করা ছাড়া আর কি করার আছে! এই
বয়সে অন্যকিছু করার থাকেনা বলে সবাই আল্লাহ্
খোদার নাম নেয়, যার গুরুত্ব কম। এখন আমি মৃত্যুর
দার প্রান্তে, একথা ভেবে আল্লাহকে ডাকছি।
বৃদ্ধ কালে সবার চোখের দৃষ্টি কমে যায়, যখন
কোরআন পড়তে যাই ভুল হয়ে যায়। স্বরন শক্তি
কমে গেছে, নামাজেও ভুল ভ্রান্তি হয়। সঠিক
ভাবে ইবাদত করা হয়না।
.
আর যৌবন কালে গায়ে শক্তি থাকে, দুচোখে
সবকিছু রঙিন লাগে, যা খুশি তাই করা যায়। অনেক কিছুই
করতে মন চায়। ঐ যৌবন কালে সবকিছুকে তুচ্ছ
করে আল্লাহর পথে চলা, তার ইবাদত করা,
যেনতেন কথানা! যে করতে পারে, সে’ই
জীবনে সফলকাম। যৌবন কালে সবার মেমেরি
থাকে সার্প। ভুল ভ্রান্তি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
সঠিক ও শুদ্ধ ভাবে ইবাদত করা যায়। সবশেষে একটা
হাদিস শোন…
হযরত জিব্রাঈল (আঃ) বলেন.. “পৃথিবীতে কত
ফোটা বৃষ্টি পড়ে, আমি গননা করিতে পারি। কিন্তু
একজন বান্দার যৌবন কালের ইবাদতের যে নেকি
আল্লাহ্ তায়ালা দান করেন, তা আমি গননা করিয়া শেষ
করিতে পারিনা।”
.
রায়হান “সুবহানআল্লাহ্”বললো। দাদুর কথাগুলো
মনোযোগ সহকারে শুনলো। তারপর থেকে
রায়হান পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া শুরু করে দেয়। এখন
প্রতিদিন দাদু আর নাতী একসাথে মসজিদে যায়

The post “”যৌবন কালের ইবাদত শ্রেষ্ঠ ইবাদত””
appeared first on TrickLoad.Com.

No comments:

Post a Comment