Search Bar

LightBlog

Saturday, April 7, 2018

সোস্যাল মিডিয়ায় বহুল প্রচলিত একটি জাল হাদিস ও কিছু ভ্রান্ত ধারনা।

“আসসালামু আলাইকুম”
আশাকরি ট্রিকলোডের ভিজিটররা ভালো ও সুস্থ আছেন। আর ট্রিকলোডের সাথে থাকলে তো ভালো থাকারই কথা।
“যাই হোক এবার কাজের কথায় আসি”
● অমুক তারিখে শবে বরাত!
● অমুক তারিখে মাহে রমজান শুরু!
● অমুক তারিখে ঈদুল ফিতর!
● অমুক তারিখে ঈদুল আজহা!

‘*‘হযরত মুহাম্মদ (স:) বলেছেন, যে ব্যক্তি এ খবর প্রথম কাউকে দিবে , তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যাবে।’’

‘*‘অমুক কালেমা ১০জন ফ্রেন্ডকে মেসেজে পাঠান, আগামি ৩দিনের মধ্যে একটি সুঃসংবাদ পাবেন । আর না পাঠালে আগামী ১০ বছরেও কোন ভাল সংবাদ পাবেন না।”

___________

* এসবকি ভাই…? অজ্ঞতারও তো একটা লিমিট আছে নাকি। একবার ভেবে দেখারও প্রয়োজন মনে করলেন না যে কিসের ভিত্তিতে প্রচার করছেন আর কার নামে মিথ্যা প্রচার করছেন? যাচাই না করেই সবাই এগুলো প্রচার করেই যাচ্ছেন!
.
* এই মেসেজ পাঠিয়ে কেউ যদি সুখবর না পায় তাহলেতো মানুষ ইসলামকেই দায়ী করবে।

* আসলেইকি ইসলামে এধরণের কোন সুখবর প্রচার করার ভিত্তি আছে কিনা এবং শুধুমাত্র রমজানের খবরের নামে তার আগাম তারিখ পৌছে দিলেই জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যেত তাহলে তো সালাত, সিয়াম, হজ্জ, যাকাত সহ অন্যান্য সুন্নাতের কোন প্রয়োজনই হতো না সকলে রমজানের খবর পৌছে দিয়েই জান্নাত হাসিল করে ফেলতো? রাসূল সাঃ এই ধরনের কোন হাদিস তার উম্মাতকে প্রচার করতে বলেছেন অথবা তার কোন সাহাবী প্রচার করেছেন কি কোন কালেমা ৩দিনের মধ্যে ভাল সংবাদ পাবার আশায়? কোথায় আছে এসব, কোন হাদীছগ্রন্থে পাওয়া যাবে? রেফারেন্স টা জানার কোন প্রয়োজন মনে হয়না আপনাদের?

* আপনার/আমার এই অজ্ঞতার কারণে যখন কোন মুসলিম যদি কালেমা বা আল্লাহর পবিত্র নাম গুলো ১০জন কে পাঠায় এবং ৩দিনের মধ্যে সে যদি কোন সুসংবাদ না পায় তবে কালেমা বা আল্লাহর নামের প্রতি তার আস্থা বিনষ্ঠ হতে পারে। সে ভাবতে পারে, হয়তো আল্লাহর নাম বা কালেমার সুসংবাদ দেয়ার কোন ক্ষমতা নেই… (নাউজুবিল্লাহ!)

* ঠিকএকইভাবে ঈহুদী- নাসারা’রা ইসলামকে ধংস করার জন্য (যদিও কস্মিনকালেও সম্ভব নয়) ও মুসলিমদের ঈমানকে দুর্বল করার জন্য সর্বদা বিভিন্ন ফন্দি-ফাঁদ পেতে চলেছে। আর রাসূল (সা.) এর নামে কোন কথা বলতে সাহাবীগণ (রা.) কতটা সাবধানতা অবলম্বন করেছেন আপনার জানা আছে? আমাদের জেনে রাখা উচিত যে রাসূল সা. এর নামে মিথ্যারোপ করা অন্য কোন সাধারণ ব্যক্তির ন্যায় সমান নয় কারণ তার প্রতি মিথ্যারোপ করার প্রতিফল সরাসরি # জাহান্নাম!
# # রাসূলুল্লাহ(সাঃ) বলেছেন,
.
* بابإِثْمِ مَنْ كَذَبَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَدَّثَنَا مَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي عُبَيْدٍ، عَنْ سَلَمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ “‏ مَنْ يَقُلْ عَلَىَّ مَا لَمْ أَقُلْ فَلْيَتَبَوَّأْمَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ

‘*‘যে ব্যক্তি আমার নামে মিথ্যারোপ করল, সে তার ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নিল” তিনি আরো বলেন, “যে ব্যক্তি আমার নামে এমন কোন কথা বলল যা আমি বলিনি, সে যেন তার বাসস্থান জাহান্নামে বানিয়ে নিল’’ [বুখারী হা/১১০, মুসলিম হা/৩, তিরমিযী হা/২৬৬২, আহমাদ হা/৮০৬৭]

# # রাসূল(সাঃ) আরো বলেন,

* بَابُالْحَثِّ عَلَى التَّثَبُّتِ فِيْمَا يَقُوْلُهُ وَيَحْكِيْهِ وَعَنْ أَبي هُرَيرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: »كَفَى بِالمَرْءِ كَذِباً أَنْ يُحَدِّثَ بِكُلِّ مَا سَمِعَ«. رواه مسلم

‘‘ * কোনব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনবে (সত্যতা যাচাই না করে) তাই প্রচার করবে’’ [মুসলিম হা/৫, আবু দাউদ হা/৪৯৯২, মিশকাত হা/১৫৬, রিয়াযুস স্বা-লিহীন হা/১৫৫৫]
___________

* আরসেজন্যই আসুন আমার মুসলিম ভাই ও বোনেরা আমরা ইসলাম প্রচারে আরো বেশী সতর্ক ও সচেতন হই! শুধুমাত্র ফজিলত আর সওয়াবের আশায় ইসলামের নাম দিয়ে এমন কোন সংবাদ প্রচার না করি যার পরিণাম হয়ে যাবে সেই ভয়াবহ জাহান্নাম!
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂

সংগৃহীত – সুন্নাহ (আল্লাহ তাদের উত্তম প্রতিদান দান করুন!)

শেয়ার করুন, বন্ধুদের সাথে ইনশাআল্লাহ।

The post সোস্যাল মিডিয়ায় বহুল প্রচলিত একটি জাল হাদিস ও কিছু ভ্রান্ত ধারনা। appeared first on TrickLoad.Com.

No comments:

Post a Comment